Ravichandran Ashwin ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ভারতীয় ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ২রা অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে।
যে ভারতীয় দলটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছে, তা শেষবারের ঘরের মাঠে খেলা সিরিজের দলের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ভারতের টেস্ট দলে এখন পরিবর্তনের ধারা শুরু হয়েছে এবং তরুণরা সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।
এর মূল কারণ, Ravichandran Ashwin, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে তাদের ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন। শুভমান গিল এখন টেস্ট দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং ইংল্যান্ডে তার প্রথম দায়িত্বে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন, যেখানে সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ হয়েছিল।
চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজই বহুদিন পর প্রথমবারের মতো, যখন ভারত ঘরের মাঠে তাদের তিন কিংবদন্তিকে ছাড়া খেলছে। যদিও রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি মাঝে মধ্যে চোট ও ব্যক্তিগত কারণে কিছু ম্যাচ মিস করেছেন, কিন্তু ঘরের মাঠে প্রধান ভরসা ছিলেন অশ্বিনই।
ভারত কত বছর পর ঘরের মাঠে Ravichandran Ashwin ছাড়াই কোনো টেস্ট খেলছে?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টটি হলো গত ১৫ বছরে প্রথমবার, যখন ভারত ঘরের মাঠে অশ্বিনকে ছাড়াই টেস্ট খেলছে। সর্বশেষবার ভারত ঘরের মাঠে অশ্বিনকে বাদ দিয়ে খেলেছিল ২০১০ সালে নাগপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। উল্লেখযোগ্যভাবে, নভেম্বর ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ পর্যন্ত Ravichandran Ashwin ভারতের হয়ে ঘরের মাঠে খেলা সবক’টি ৬৫টি টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন।
অশ্বিন ছিলেন ভারতের ঘরের মাঠে আধিপত্যের অন্যতম প্রধান কারণ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কাছে ২০১২ সালে হারের পর থেকে ভারত ঘরের মাঠে আর কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিলেন Ravichandran Ashwin।
ঘরের মাঠের টেস্টে Ravichandran Ashwin ছিলেন এক কথায় অসাধারণ। তিনি ৬৫টি হোম টেস্টে খেলেছেন এবং ২১.৫৭ গড়ে নিয়েছেন ৩৮৩টি উইকেট। এর মধ্যে রয়েছে ২৯টি পাঁচ উইকেট নেওয়া, আর সেরা বোলিং ছিল ৭/৫৯। ব্যাট হাতেও তিনি ছিলেন কার্যকর। ভারতীয় এই কিংবদন্তি করেছেন ১৯৮৯ রান, যার মধ্যে রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি।
তার অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য বড় ক্ষতি। এক সেশনে ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তার বিশেষত্ব ছিল। এখন দেখা বাকি, তরুণ স্পিনাররা কীভাবে তার অভাব পূরণ করতে পারে।