
আফগানিস্তান ২৮ ফেব্রুয়ারি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর দশম ম্যাচটি ২৮ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
গ্রুপ বি-এর সেমিফাইনালের দৌড়ে এই ম্যাচটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ যে দল জিতবে তারা নকআউট পর্বে জায়গা নিশ্চিত করবে।
যদি আফগানিস্তান হারে, তবে তারা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে, এবং গ্রুপ বি থেকে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে উঠবে। তবে, যদি অস্ট্রেলিয়া জয়ী হতে না পারে, তাহলে তাদের আশেজ প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের ওপর নির্ভর করতে হবে, যাতে ইংল্যান্ড বড় ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট (NRR) অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কম হয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে, চলুন দেখে নেওয়া যাক শেষবার যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন কী ঘটেছিল।
শেষবার যখন অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন কী ঘটেছিল?
আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ২০২৪ সালের জুনে, কিংস্টনে অনুষ্ঠিত আইসিসি মেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচে আফগানিস্তান ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয়লাভ করে।
প্রথমে ব্যাটিং করে, আফগানিস্তানের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ, যারা যথাক্রমে ৫০ ও ৬১ রান করেন। তাদের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড় করায়।
তবে ইনিংসের শেষদিকে আফগানিস্তান ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ১৫ ওভারে ১১৮/০ থেকে ২০ ওভারে ১৪৮/৬-এ গুটিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৩/২৮ নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই চাপে পড়ে যায় এবং ৩২/৩ স্কোরে পরিণত হয়। আফগানিস্তানের হয়ে নাভীন-উল-হক এবং গুলবাদিন নাইব অসাধারণ বোলিং করেন, দুজনে মিলে মোট সাতটি উইকেট শিকার করেন।
অস্ট্রেলিয়া পুরো ইনিংসে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫৯ রান করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর করেন, তবে গুলবাদিন নাইব ৪/২০ বোলিং ফিগারের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
এই জয়ের ফলে আফগানিস্তান আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়। এবার কি আফগানিস্তান আবারও তাদের নৈপুণ্য দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে যেতে পারবে? অপেক্ষা করে দেখতে হবে।